টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা ও দক্ষতায় অল্প দিনের মধ্যে ইউনিয়নে রাস্তা-ঘাট, স্কুল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও মানুষের সুখে দুখে পাশে থেকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়ে তিনি এলাকায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছেন। জানা যায়, ২০১৮ সালে ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়ন ভাগ হয়ে সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠা পায়।
ওই সালেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ১২ জুন চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার পান হেকমত সিকদার। এর আর তিনি ধলাপাড়া ইউনিয়নে ৮ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে যে ২৫ শতাংশ ভূমির উপর অস্থায়ীভাবে সাগরদীঘি ইউপি নির্মাণ করা হয়েছে ওই ভূমিও দান করেছেন তিনি। দায়িত্ব পেয়ে ইতোমধ্যে ইউনিয়নবাসীর বহু দিনে পুরানো ভাঙা রাস্তাগুলো মেরামত করে ও পাকা রাস্তায় নির্মাণে রেখেছেন অনন্য অবদান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতেও তিনি প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন। পূর্বের তুলনায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ অনেক কমে গেছে। পরিষদে সালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্যার নিরসন করে যাচ্ছেন তিনি। মাদকের সাথে আপোষহীন নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
তেমনি গরীব অসহায়রা যেন আশ্রয়স্থল খুঁজে পেয়েছেন। তিনি মানবিক চেয়ারম্যান হিসেবে গণ্য হয়। ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার যুব সমাজের অহংকার।
তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সুসংঘঠিত রেখেছেন। চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটসহ পরিষদের সকল কার্যক্রমে মানুষকে এখন বেগ পেতে হয়না। সহজেই সকল সেবা পাচ্ছেন জনগণ। করোনা মহামারিতে টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
ইউনিয়নবাসীকে সুযোগ সুবিধা দিতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম অব্যাহত রেখেন। পরিষদের সকল সদস্যরাও তার আদর্শকে অনুসরন করে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় আসলাম হোসেন বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার এলাকায় অনেক রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। একসময় ভাঙা পুরাতন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যেতোনা তিনি সেগুলো সংস্কার করেছেন, তৈরি করেছেন অনেক নতুন রাস্তা। তিনি একজন ভালো মনের মানুষ।
তার সাথে ছোট-বড় সকলের সাথে মিশতে পারেন। ধনী-গরীব, কৃষক-শ্রমিক সকলের সাথেই যোগাযোগ করেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে পুনরায় তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার বলেন, বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের ২৫ শতাংশ জায়গা, এটি আমি পরিষদের নামে দান করেছি। এ সরকারের আমলে গ্রামকে শহর করার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ দিয়েছেন তা অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করছি।
তাঁর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৗঁছেছে, অনেকগুলো রাস্তার কাজ সম্পন্ন করেছি, এখন বাড়ি বাড়ি রাস্তা হচ্ছে। বর্তমানে ১০টি রাস্তার কাজ চলমান আছে, এগুলো শেষ হলেই মানুষের আশা পুরণ হয়ে যাবে।
এসময় তিনি সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং ডিজিটাল ইউনিয়ন গড়ার লক্ষে নিরলসভাবে জনসেবায় নিয়োজিত থাকার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন স্বনামধন্য ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।